চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা জামাই-শ^শুর মুখোমুখি
আজাদ হোসেন সুমন ও ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকান্ডের বছর পার হলেও এখনও বের হয়নি খুনের মোটিভ। খুনের নির্দেশদাতা কে, সেই তথ্যও উদঘাটন করতে পারেননি মামলার তদন্তকারী সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে বাবুল আক্তার ও মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। প্রথমদিকে মিতুর বাবা মেয়ে জামাই বাবুল আক্তারের পক্ষে অবস্থান নিলেও এখন তিনি বাবুল আক্তারকে দোষারোপ করছেন। মিতু হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ি করে তার বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়া অভিযোগ তুলছেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তার এতটা ধুরন্ধর আগে বুঝতে পারিনি। মিতু হত্যার পিছনে তার হাত আছে, আমি বিষয়টি পুনঃতদন্তের অনুরোধ জানাই। বাবুল আক্তার বলেন, শ^শুরমশাই মুরুব্বি মানুষ, তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধ রেখে বলছি- তিনি যা করছেন ভাল করছেন না। যা বলছেন, ভাল বলছেন না। তিনি একটি অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে না পেরে এখন আমার পিছু লেগেছেন। যাই হোক এতে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নেই।
এ বিষয়ে বাবুল আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমি ইতিপূর্বে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। শ^শুর-শ^াশুড়ি চেয়েছিলেন তাদের ১৬ বছর বয়সী ভাগ্নিকে বিয়ে করে আমি ওই বাড়িতেই থাকি। যা আমি আমার ২ সন্তানের ভবিষ্যত বিবেচনায় বাস্তবায়ন করিনি। এটাই আমার জন্য কাল হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেন, মামলাটি আমরা একটা পর্যায়ে এনেছি। খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের সবার পরিচয় বের করতে পেরেছি। এর মধ্যে মূল যে ব্যক্তি মুছা তাকে আমরা এখনো গ্রেফতার করতে পারিনি। মুছাকে পেলে কে খুনের নির্দেশ দিয়েছে, কেন খুন হয়েছে বিষয়টা জানা যেত। এরপরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ