ভারতীয় কারাগারে কুড়িগ্রামের শতাধিক বন্দি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়াসহ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা ও নাগদহ গ্রামের প্রায় শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জেলে আটকা পড়ে আছেন। ভারতের জেলে আটকা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের ভিটে মাটি বিক্রি করে দালালদের হাতে টাকা দেওয়ার পরেও দেশে ফিরতে পারছেন না তারা। অনেকের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলখানায় বন্দি থাকায় অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলাটি ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা হওয়ার কারণে ২০১৩ সালের জানুয়ারীতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এবং উত্তম কর্মসংস্থানের কথা বলে কিছু দালাল চক্রের মাধ্যমে ওই এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুদেরকে উপজেলার কাশিপুর সীমান্ত দিয়ে কৌশলে কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে অবৈধ পন্থায় তাদেরকে ভারতে পাঁচার করে দেয়। অনেকেই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে পারলেও কাজ শেষে বাংলাদেশে ফেরার সময় ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বরে ভারতীয় দালাল চক্র কৌশলে মজুরদের সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইলসহ যাবতীয় কিছু লুট করে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখলে সটকে পড়ে দালালরা।
পরে ভারতের পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে ধরে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর পর জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। এখন তারা বালুরঘাট জেলখানায় আটক রয়েছেন। অন্য দিকে দালাল চক্র ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবরে দাশিয়ার ছড়ার বাসিন্দা হাজরা নামের ২৪ বছরের এক যুবতীকে ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঁচার করে। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে সাহেবগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশের মাধ্যমে কোচবিহার জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়। হাজরা বেগমসহ আটক বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুরা আইনি কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাদেরকে ভারতের জেলে বন্দি থাকতে হচ্ছে।