আসনভিত্তিক ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দের দাবি সরকারি দলের এমপিদের
বিশেষ প্রতিনিধি : আসন্ন অর্থবছরে নির্বাচনি আসনভিত্তিক ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকার দলীয় এক সংসদ সদস্য। এমপিরা বলেন, নির্বাচনের আগে এটা হচ্ছে আমাদের শেষ কার্যকর বাজেট। নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম বলেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটই কেবল পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর আগে রাজনৈতিকভাবে এটা বিবেচনা করতে হবে। সব দিকে সুদের হার কমানোর আগে বিকল্প বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা উচিত। মনে রাখতে হবে, ২০১৮ সালে তারা হবেন আমাদের সম্মানিত ভোটার।
সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত বলেন, অল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা না করে বেশি আয়ের মানুষের কাছ থেকে কর নেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। শুধু খামোশ বা রাবিশ বলে দায় এড়ানো যাবে না। অর্থমন্ত্রী আর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছে, সবাইকে বোঝাতে হবে কর আরোপের ফলে কার ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচন। এখন অনেকে বিদেশ থেকে টাকা এনে চরিত্র হননের কাজ করছে। গণমাধ্যমে রিপোর্ট আসছে। এগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন। ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন আরও কঠিন। অর্থমন্ত্রী সব মানুষের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন। আগামী বছর ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ঋণ দাঁড়াবে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ খুশি নয় বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্কের কারণে ভালো দিক চাপা পড়ে গেছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ইয়াহহিয়া চৌধুরী বলেন, সমাজের জন্য ক্ষতিকারক জিনিষের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়।
বাজেট আলোচনায় অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের বিএম মোজাম্মেলক হক, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, স্বপন ভট্টাচার্য, তালুকদার মো. ইউনুস, নাভানা আক্তার, জাসদের শিরীন আখতার প্রমুখ অংশ নেন। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি