ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের তদন্ত শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট : বিচারের পথে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার এই তদন্ত করছেন। বিডিনিউজ
বিবিসি বলছে, বুধবার তদন্ত সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত কয়েক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। এরপর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও পৃথক সূত্রের বরাত দিয়ে একই প্রতিবেদন ছাপে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কোমিকে বরখাস্ত করার পরদিন থেকে স্পেশাল কাউন্সেল মুলার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগে তদন্তে নামেন। তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ড্যান কোটস, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান মাইক রজার্স এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক উপপরিচালক রিচার্ড ল্যাডগেট মুলারের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। মুলার একইসঙ্গে ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের অভিযোগেরও তদন্ত করছেন।
ট্রাম্পের আইনী দল তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ট্রাম্পের লিগাল টিমের মুখপাত্র মার্ক কোরেলো বলেন, প্রেসিডেন্ট বিষয়ে এফবিআইয়ের ফাঁস হওয়া তথ্য জঘন্য, অযৌক্তিক ও অবৈধ।
মুলারের তদন্ত দলের মুখপাত্র এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ট্রাম্প কিংবা হোয়াইট হাউজও প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
রয়টার্স বলছে, সাধারণত দায়িত্বরত প্রেসিডেন্টরা ফৌজদারি অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হন না; তবে বিচারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পবিরোধীরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে পারবে। কিন্তু এই প্রস্তাব আনার জন্য কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের অনুমতি লাগবে, যেখানে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
বরখাস্ত হওয়া এফবিআই প্রধান জেমস কোমি গত সপ্তাহে কংগ্রেসকে বলেছিলেন, তার বিশ্বাস রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত ধামাচাপা দিতেই ট্রাম্প তাকে বহিষ্কার করেছেন। দায়িত্বে থাকার সময় ট্রাম্প তার আনুগত্য চেয়েছিলেন এবং সাবেক সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের কথা বলেছিলেন বলেও দাবি করেন কোমি।
তবে কোমি তার সাক্ষ্যে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে তদন্ত চলছে বলে জানাননি; তিনি বলেছেন, পুরো বিষয়টাই স্পেশাল কাউন্সেল মুলার ‘খতিয়ে দেখছেন’। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী