সম্পত্তি কার, হিসাব রাখে কে?
রবিউল আলম
ম্যাডাম খালেদা জিয়া আজকাল সম্পত্তির হিসাব রাখা শুরু করেছেন। প্রশ্ন হলো কাকে, কিভাবে অবৈধ সম্পত্তি দিয়েছেন এবং নিজে নিয়েছেন এই হিসাব কি রেখেছিলেন? সরকারের সম্পত্তি ইচ্ছে করলেই নেওয়া যায় না, রাখা যায় না, একদিন হিসাব দিতেই হয়। এত লেখাপড়া করেও ব্যারিস্টারি পাস করেও মওদুদ সাহেব জানেন নাÑ এ কথা কি জনগণ মানতে পারে?
মাননীয় বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন, মওদুদ সাহেবের বাড়ি অবৈধ, খালেদা জিয়া হুঙ্কার দিয়েছেন, যারা মওদুদ সাহেবকে বাড়িছাড়া করেছেন তাদেরও বাড়ি ছাড়া করবেন, কিন্তু মওদুদের বিচার করার অপরাধে বিচাপতিদেরকে কি বাড়ি ছাড়া করবেন? নাকি সরকারের ছাপোষা কেরানী, হুকুমের দাস গণপূর্ত কর্মচারীরা যারা চেয়ার-টেবিল নিয়ে টানাটানি করছেন তাদেরকে বাড়িছাড়া করবেন তা পরিষ্কার করে কিছু তিনি বলেননি। শেখ হাসিনাকে একবার গণভবন ছাড়া করেছেন, স্বাধীনতার অগ্রনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইচ্ছে করলে কি নিতে পারতেন না, ৩২ নম্বর বাড়িটি ছাড়া কি তিনি আর কিছু পেয়েছিলেন? মতিয়া চৌধুরীর নামে পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল, ৫ কাঠা জমি নিয়েছিলেন তিনি, বাকি জমির প্রয়োজন ছিল না বলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। খালেদা জিয়া ১৬০ কাঠা জমিসহ ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি, মওদুদের ১০০ কাঠার বাড়ি মহামান্য হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন।
আমি আইন বুঝি না, জ্ঞান অনেক কম, শুধু বুঝি এই গরিব দেশে রাজনৈতিক নেতা হয়ে সেবার নামে সরকারের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, এই জাতি তাদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারে। ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া হয়ে এত কষ্ট বোঝার জন্য ধন্যবাদ। এখন বুঝতে পারবেন বিএনপির স্থায়ী কার্যালয় একজন বিধবার সম্পত্তি ছিল, শহীদ আলতাফ মাহমুদের মালিবাগের বাড়িটি বঙ্গবন্ধু সরকার দিয়েছিল। এ রকম হাজার হাজার শহীদ পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করেছিলেন মাত্র ২ কাঠা, ১ কাঠার জমি থেকে। এই পৃথিবীর দান-প্রতিদানের বিচারের মালিক মহান আল্লাহ, দুনিয়ার বিচার হয়তো মহামান্য বিচারপতিরা করেন। দেশের ও জনগণের সম্পত্তি লুট করার একটা সীমা থাকে। ১৬০ কাঠা খালেদা জিয়া, ১০০ কাঠা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খালেদা জিয়ার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা আর কত সম্পত্তি লুট করেছেন খুঁজে বের করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের জামায়াত কত সম্পত্তি লুট করেছেন ব্যাংক, বীমা, চিকিৎসালয়ের নামে আজ সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। যে কারণে জনমনে একটি সেøাগান আজ উজ্জ্বল, শেখ হাসিনার সরকার-বারবার দরকার।
লেখক: ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা: আশিক রহমান